Amarjonno
    Back to Products
    কালোজিরা ফুলের মধু ২৫০ গ্রাম | Kalozira Honey 250gm 1
    -6%

    কালোজিরা ফুলের মধু ২৫০ গ্রাম | Kalozira Honey 250gm

    0.0(0 reviews)
    150+ Sold
    ৳450.00৳480.00
    Save ৳30.00
    1
    10 available

    Bhalo Food and Beverage

    Visit Store

    Share:
    1 Year Warranty
    7 Days Return
    Cash on Delivery

    SKU: KHoney250

    কালোজিরা মধু একটি অনন্য, প্রিমিয়াম মধুর প্রকার যা কালোজিরা (নিগেলা স্যাটিভা) গাছের ফুলের পরাগ থেকে মৌমাছিদের দ্বারা সংগ্রহ করা হয়। এটি ""ব্ল্যাক সিড হানি"" নামেও পরিচিত, যা তার শক্তিশালী স্বাদ, গন্ধ, রঙ এবং অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বিখ্যাত। এই মধুটি ছোট ব্যাচে উৎপাদিত হয়, যা এর প্রাকৃতিক সমৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে সহায়ক।

    স্বাস্থ্য উপকারিতা:

    ১। এতে রয়েছে বেশ কিছু খনিজ উপাদান যা শারীরিক সুস্থতা প্রদানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
    ২। দেহে তাপ ও শক্তির যোগান দেয়।
    ৩। হজমক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে হজমে সহায়তা করে।
    ৪। অ্যাসিডিটি উপশমে বেশ ভালো কাজ করে।
    ৫। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য এবং ডায়রিয়াতেও এটি বেশ উপযোগী।
    ৬। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।
    ৭। ঘুমের সমস্যা সমাধানে এটি বেশ ভালো কাজ করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এক চা চামচ মধু হতে পারে অনিদ্রার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী।
    ৯ । রক্তশূন্যতা দূর করে ভূমিকা রাখে।
    ১০। দেহের পানিশূন্যতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
    ১। ত্বক মসৃণ ও সজীব রাখতে কাজ করে এটি।
    ১২। রূপচর্চায় এক বহুল ব্যবহৃত উপাদান।
    ১৩। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ ভালো কাজ করে।
    ১৪। হাঁপানি ও ফুসফুসের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী।
    ১৫। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা দূর করতে চমৎকার কাজ করে।

    ব্যবহারযোগ্যতা:

    মধু একটি বহুমুখী প্রাকৃতিক উপাদান যা দৈনন্দিন জীবনে খাবার, স্বাস্থ্য এবং ত্বকের যত্নে নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। এখানে মধুর কিছু সাধারণ ব্যবহার উল্লেখ করা হলো:

    মিষ্টির উপাদান হিসেবে: মধু সাধারণত প্রাকৃতিক মিষ্টির উপাদান হিসেবে চা, কফি, স্মুদি এবং অন্যান্য পানীয়তে ব্যবহার করা হয়। এটি রিফাইন্ড চিনি পরিবর্তে খাদ্যে একটি স্বাস্থ্যকর এবং জটিল স্বাদ যোগ করতে সাহায্য করে।

    রান্না এবং বেকিং: মধু রান্না এবং বেকিংয়ে ব্যবহৃত হয় খাবারের স্বাদ বাড়াতে যেমন মেরিনেড, ড্রেসিং, কেক এবং কুকি তৈরিতে। এটি বেকড খাবারে আর্দ্রতা এবং সমৃদ্ধি প্রদান করতে পারে এবং বাঁধনকারী হিসেবে কাজ করে।

    স্বাস্থ্যগত চিকিৎসা: মধু তার চিকিৎসা গুণের জন্য পরিচিত। এটি গলা ব্যথা, কাশি এবং সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ঘা, কাটাছেঁড়া এবং পোড়া জায়গায় লাগালে দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে।

    ত্বকের যত্ন: মধু ত্বকের যত্নে একটি জনপ্রিয় উপাদান। এটি সরাসরি ত্বকে মুখমণ্ডল বা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, কারণ এটি ত্বককে হাইড্রেট এবং প্রশান্ত করে। মধু ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে।

    পাচন সহায়িকা: মধু হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গরম পানির সঙ্গে খেলে পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে। এটি খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণেও সাহায্য করে।

    শক্তি প্রদানকারী: মধু একটি প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি, যেমন গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ শরীরে দ্রুত শক্তি যোগ করে, যা শারীরিক ক্রিয়াকলাপের আগে বা পরে উপকারী।
    মানসিক চাপ কমানো: রাতে ঘুমানোর আগে মধু খাওয়া মনকে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং ঘুমের উন্নতি ঘটায়, কারণ এটি শরীরে মেলাটোনিন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে, যা ঘুমের প্যাটার্নকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    মধুর প্রাকৃতিক গুণের কারণে এটি শুধুমাত্র খাবারের মিষ্টি হিসেবে নয়, স্বাস্থ্য এবং ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহৃত একটি অপরিহার্য উপাদান।

    সংরক্ষণ পদ্ধতি:

    কালোজিরা ফুলের মধু সংরক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্বতি অনুসরণ করা হলে এটি তার গুণাগুণ এবং স্বাদ দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকে। নিচে কালোজিরা ফুলের মধু সংরক্ষণের কিছু কার্যকরী পদ্ধতি দেয়া হলো:

    ১. শীতল, শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ: মধু সংরক্ষণের জন্য শীতল এবং শুষ্ক স্থান নির্বাচন করা উচিত। ২৫°C তাপমাত্রার নিচে মধু সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সতেজ থাকে। মধু খুব উচ্চ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে এর পুষ্টিগুণ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই একে গরম বা আর্দ্র পরিবেশ থেকে দূরে রাখা জরুরি।

    ২. এয়ারটাইট পাত্র ব্যবহার: মধু সংরক্ষণের জন্য এয়ারটাইট (হাওয়াবিহীন) পাত্র ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এটি মধুকে বাইরে থেকে বাতাস ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করে, যা মধুর মান এবং গুণমান বজায় রাখতে সাহায্য করে। কাঁচের জার বা প্লাস্টিকের পাত্রে মধু সংরক্ষণ করা সবচেয়ে উপযোগী।

    ৩. সূর্যের সরাসরি আলো থেকে দূরে রাখা: মধু কখনোই সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখা উচিত নয়। এটি মধুর স্বাদ এবং গুণাগুণ কমিয়ে দেয়। মধু  dark  হওয়া বা ক্রিস্টালাইজেশন (জমে যাওয়া) হতে পারে যদি তা অতিরিক্ত তাপে বা আলোতে রাখা হয়। তাই মধু রাখার স্থানে আলো আসা উচিত নয়।

    ৪. বাড়তি আর্দ্রতা থেকে রক্ষা: মধু সংরক্ষণ করার সময় অবশ্যই আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে। আর্দ্রতা থাকলে মধুতে ফলিক এসিড এবং অন্যান্য মাইক্রোবিক জীবাণু বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি মধুর গুণগত মানকে নষ্ট করতে পারে। তাই শুষ্ক পরিবেশে মধু রাখা উচিত।

    ৫. ফ্রিজে না রাখা: যেহেতু মধু প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত থাকে, তাই এটি ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন নেই। ফ্রিজে রাখলে মধু জমে যেতে পারে, এবং এর গুণগত মানে পরিবর্তন আসতে পারে। মধুর যে ক্রিস্টালাইজেশন প্রক্রিয়া হয় তা ঠান্ডা তাপমাত্রায় আরও ত্বরান্বিত হয়, যা মধুর গা dark ় হওয়া বা জমে যাওয়া অবস্থা সৃষ্টি করে।